স্বাস্থ্য ডেস্ক 06 September, 2023 06:36 PM
বর্তমানে চিকিৎসকদের বিরুদ্ধে নানা হয়রানির অভিযোগ উঠলেও চিকিৎসক ইব্রাহিম ছিলেন ব্যতিক্রম। তিনি বহুমাত্রিক প্রতিভার অধিকারী ছিলেন। তার কোনো রোগী নিয়মিত হাসপাতালে না আসলে রোগীর বাড়িতে চিঠি পাঠাতেন। এটা তার আলাদা গুণ ছিল। তার এ পদ্ধতি নতুন করে চালু করার উদ্যোগ নিয়েছে বাংলাদেশ ডায়াবেটিক সমিতি। এরই ধারাবাহিকতায় তৈরি করা হয়েছে নতুন অ্যাপ। এই অ্যাপের মাধ্যমেই রোগীর খোঁজখবর নেয়া হবে। যদি কোনো রোগী নিয়মিত চিকিৎসা না নিতে আসেন, তাহলে তাদের ফোন করে আসতে অনুরোধ করা হবে।
বুধবার (৬ সেপ্টেম্বর) বাংলাদেশ ডায়াবেটিক সমিতির প্রতিষ্ঠাতা জাতীয় অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ ইব্রাহিমের ৩৪তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত এক স্মরণ সভায় এসব কথা বলেন প্রতিষ্ঠানের চিকিৎসকরা। এই দিনটিকে ‘ডায়াবেটিক সেবা দিবস’ পালন করে আসছে সংস্থাটি। মৃত্যুবার্ষিকীতে ড. ইব্রাহিমের বনানীস্থ কবরস্থানে বিভিন্ন অঙ্গপ্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হয়। পরে সকাল ৮টা থেকে বেলা ১১টা পর্যন্ত বারডেম জেনারেল হাসপাতালের জরুরি বিভাগে বিনামূল্যে ডায়াবেটিক নির্ণয় করা হয়। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ডায়াবেটিক সমিতি সভাপতি জাতীয় অধ্যাপক এ কে আজাদ খান। স্মরণ সভায় উপস্থিত ছিলেন বারডেমের মহাপরিচালক অধ্যাপক এম কে আই কাইয়ুম চৌধুরী, ডায়াবেটিক সমিতির সহ-সভাপতি আবদুল মুয়ীদ চৌধুরী।
জাতীয় অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ ইব্রাহিমের স্মৃতিচারণ করে বাংলাদেশ ডায়াবেটিক সমিতির মহাসচিব মোহাম্মদ সাইফ উদ্দিন বলেন, এখন চিকিৎসকের বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ উঠলেও চিকিৎসক ইব্রাহিম ছিলেন বহুমাত্রিক প্রতিভার অধিকারী। তার কোনো রোগী হাসপাতালে না আসলে রোগীর বাড়িতে চিঠি পাঠাতেন তিনি। এটা তার আলাদা গুণ ছিল। ৫০ শতাংশ ডায়াবেটিক রোগী জানে না, তাদের ডায়াবেটিক আছে। শুধু বাংলাদেশে নয়, অন্য দেশের ক্ষেত্রেও একই অবস্থা।
স্মরণ সভায় মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বাডাসের ল্যাবরেটরি সার্ভিসেস বিভাগের পরিচালক অধ্যাপক এম শওকত হাসান। তিনি বলেন, ডায়াবেটিক চিকিৎসার পাশাপাশি আগামী দিন ক্যান্সার শনাক্ত ও চিকিৎসা ব্যবস্থা করবে ডারডেম। এজন্য আমেরিকার একটি সংস্থার সঙ্গে চুক্তি করা হয়েছে।
বাংলাদেশ বাংকের সাবেক গভর্নর ইমেরিটাস অধ্যাপক ড. আতিউর রহমান বলেন, ডা. মোহাম্মদ ইব্রাহিমের সেবাদানের মন ছিল। এজন্য তিনি বারডেমের মতো হাসপাতাল প্রতিষ্ঠা করতে পেরেছেন। ডায়াবেটিক সাধারণ মানুষের নতুন বিপদ হয়ে দাঁড়িয়েছে। দেশে এক কোটিরও বেশি মানুষ এ রোগে আক্রান্ত। তবে আশার কথা হলো, এখন সাধারণ মানুষের মধ্যে সচেতনতা বেড়েছে। দেশীয়ভাবে এই রোগের ওষুধ প্রস্তুত করা হচ্ছে।